ঢাকা , রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: সাবেক এমপি রানাসহ ৪ ভাই খালাস

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০২-০২-২০২৫ ০৫:১৮:০১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০২-০২-২০২৫ ০৫:১৮:০১ অপরাহ্ন
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: সাবেক এমপি রানাসহ ৪ ভাই খালাস ​মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের ফাইল ছবি এবং রায় ঘোষণা উপলক্ষে আদালতে আসামি সহিদুর রহমান খান মুক্তি (সংগৃহীত)
টাঙ্গাইলের আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার অন্যতম আসামি সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানা, তার ভাই সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১০ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসান এ রায় দেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মোহাম্মদ আলী ও কবির হোসেন। দুজনই জামিনে থেকে পলাতক।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান স্বপন বলেন, ‘দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাসহ ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।’

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের কলেজপাড়া থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার হয়। এর তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। 

পরের বছর আগস্টে এই হত্যায় জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের জবানবন্দিতে, আওয়ামী দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার নাম আসে।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াহেদ, আবদুল খালেক ও সনি আদালতে জবানবন্দি দেন। এক পর্যায়ে আমানুর রহমান খান রানাসহ চার ভাই আত্মগোপনে চলে যান। পরে রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় ৩ বছর তিনি হাজতে ছিলেন। কিন্তু অন্য ভাইরা ২০১৪ সাল থেকেই পলাতক।

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফীজুর রহমান এই চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার শুরু হয়। গত ২৬ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

বিচার চলাকালে মামলার দুই আসামি আনিছুর রহমান ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ সমির কারাগারেই মারা যান।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ